Skill

অপারেটিং সিস্টেম (OS)

Computer Science - কম্পিউটারের ব্যাসিক (Basics of Computers)
498

অপারেটিং সিস্টেম (OS) হলো একটি সফটওয়্যার সিস্টেম যা কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে যোগাযোগ এবং সমন্বয় তৈরি করে। এটি কম্পিউটারের কাজ পরিচালনা করে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য একটি ইনটারফেস সরবরাহ করে, যা তাদের কম্পিউটারকে ব্যবহার করতে সাহায্য করে।

অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান কাজ

১. প্রসেস ম্যানেজমেন্ট:

  • বিভিন্ন কার্যক্রম বা প্রসেস পরিচালনা করা এবং CPU সময়ের যথাযথ বন্টন নিশ্চিত করা। এটি প্রসেসগুলির সৃষ্টি, সমাপ্তি এবং সম্পাদনাও পরিচালনা করে।

২. মেমোরি ম্যানেজমেন্ট:

  • RAM এবং ROM এর ব্যবহার এবং ডেটা সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করা। এটি মেমোরি বরাদ্দ এবং মুক্ত করার কাজও করে।

৩. ফাইল সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট:

  • ফাইল তৈরি, পড়া, লেখা এবং মুছে ফেলার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ফাইলের সংগঠন এবং অ্যাক্সেসের নিয়ন্ত্রণ করে।

৪. ইনপুট/আউটপুট ম্যানেজমেন্ট:

  • ইনপুট ডিভাইস (যেমন কীবোর্ড, মাউস) এবং আউটপুট ডিভাইস (যেমন মনিটর, প্রিন্টার) পরিচালনা করা।

৫. ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট:

  • কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। এটি ডিভাইস ড্রাইভার এবং সিস্টেম কলগুলির মাধ্যমে কাজ করে।

৬. নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট:

  • নেটওয়ার্কে ডেটা স্থানান্তর এবং প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি নেটওয়ার্ক সংযোগ এবং সুরক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে।

অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ

বেসিক অপারেটিং সিস্টেম:

  • Windows: মাইক্রোসফটের তৈরি, যা ব্যক্তিগত কম্পিউটারগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
  • Linux: একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম, যা সার্ভার এবং ডেস্কটপ উভয় ক্ষেত্রেই জনপ্রিয়।
  • macOS: অ্যাপলের তৈরি অপারেটিং সিস্টেম, যা ম্যাক কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়।

মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম:

  • Android: গুগলের তৈরি, যা স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটে ব্যবহৃত হয়।
  • iOS: অ্যাপলের তৈরি, যা iPhone এবং iPad-এ ব্যবহৃত হয়।

রিয়েল-টাইম অপারেটিং সিস্টেম (RTOS):

  • সিস্টেমগুলি যেখানে সময়সীমার মধ্যে দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন, যেমন embedded systems, উড়োজাহাজ এবং শিল্প নিয়ন্ত্রণ।

অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্ব

  1. ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা: এটি ব্যবহারকারীর জন্য একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ইন্টারফেস সরবরাহ করে, যা কম্পিউটারের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে সহজ করে।
  2. কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা: অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে, ফলে সিস্টেমের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  3. নিরাপত্তা: এটি সিস্টেমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন করে, যেমন ইউজার অথেনটিকেশন এবং ডেটা এনক্রিপশন।

উপসংহার

অপারেটিং সিস্টেম (OS) হলো কম্পিউটারের একটি অপরিহার্য অংশ, যা হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করে। এটি প্রসেস, মেমোরি, ফাইল, এবং ডিভাইসগুলির পরিচালনা করে। বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেমগুলি বিভিন্ন পরিবেশে ব্যবহৃত হয়, যেমন ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, এবং মোবাইল ডিভাইসে। আধুনিক প্রযুক্তিতে, একটি কার্যকরী এবং নিরাপদ অপারেটিং সিস্টেমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অপারেটিং সিস্টেম কী এবং এর ভূমিকা

419

অপারেটিং সিস্টেম (Operating System) হল একটি সফটওয়্যার সিস্টেম যা কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে একটি সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে। এটি কম্পিউটারের সম্পদ (যেমন CPU, মেমোরি, স্টোরেজ, এবং ইনপুট/আউটপুট ডিভাইস) ব্যবস্থাপনা করে এবং ব্যবহারকারী এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলির জন্য একটি ব্যবহারকারী ইন্টারফেস প্রদান করে।

অপারেটিং সিস্টেমের ভূমিকা

১. হার্ডওয়্যার পরিচালনা:

  • অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার হার্ডওয়্যারকে পরিচালনা করে, যেমন CPU, RAM, ডিস্ক ড্রাইভ এবং অন্যান্য উপাদান। এটি হার্ডওয়্যার সম্পদগুলির কার্যকরী ব্যবহার নিশ্চিত করে।

২. সম্পদ বরাদ্দ:

  • এটি বিভিন্ন প্রক্রিয়া এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে সম্পদ বরাদ্দ করে, যাতে প্রতিটি প্রক্রিয়ার সঠিকভাবে কার্যকরী হয় এবং একটি অপরের সাথে সংঘর্ষ না করে।

৩. প্রক্রিয়া ব্যবস্থাপনা:

  • অপারেটিং সিস্টেম বিভিন্ন চলমান প্রক্রিয়া এবং থ্রেডের ব্যবস্থাপনা করে। এটি প্রসেস তৈরি, সমাপ্তি, এবং পরিবর্তনশীল অবস্থান ট্র্যাক করে।

৪. মেমোরি ব্যবস্থাপনা:

  • এটি RAM এবং অন্যান্য মেমোরির কার্যকরী ব্যবহার নিশ্চিত করে। অপারেটিং সিস্টেম ডেটা সঞ্চয় এবং অ্যাক্সেসের জন্য মেমোরি বরাদ্দ এবং মুক্ত করে।

৫. ফাইল সিস্টেম পরিচালনা:

  • অপারেটিং সিস্টেম ফাইল এবং ডিরেক্টরির সৃষ্টির জন্য একটি ফাইল সিস্টেম প্রদান করে। এটি ফাইলগুলির তৈরি, মুছে ফেলা, পড়া এবং লেখা পরিচালনা করে।

৬. নেটওয়ার্ক পরিচালনা:

  • এটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যোগাযোগের পরিচালনা করে, যা বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের সক্ষমতা দেয়।

৭. ব্যবহারকারী ইন্টারফেস:

  • অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য একটি ইন্টারফেস প্রদান করে, যা তাদের সহজেই কম্পিউটার পরিচালনা করতে এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার করতে সাহায্য করে। এটি গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI) বা কমান্ড লাইনের মাধ্যমে হতে পারে।

৮. সিকিউরিটি ও এক্সেস কন্ট্রোল:

  • অপারেটিং সিস্টেম নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে। এটি ইউজার অথেনটিকেশন, অনুমতি এবং ডেটা সুরক্ষার কাজ করে।

উপসংহার

অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের মূল অবকাঠামো, যা হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করে। এটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়া পরিচালনা, মেমোরি ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তার মতো বিভিন্ন কার্যাবলী সম্পন্ন করে। অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া কম্পিউটার সিস্টেমের কার্যকরী ব্যবহার সম্ভব নয়, এবং এটি একটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনের জন্য একটি ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম: Windows, macOS, Linux

329

অপারেটিং সিস্টেম (OS) হল কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে একটি ইন্টারফেস যা ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার পরিচালনা এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানোর সুযোগ দেয়। নিচে তিনটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম—Windows, macOS, এবং Linux—এর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১. Windows

সংজ্ঞা:

Windows হল Microsoft দ্বারা তৈরি একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম, যা 1985 সালে প্রথম মুক্তি পেয়েছিল। এটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার (PC) এবং ল্যাপটপের জন্য সবচেয়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত OS।

বৈশিষ্ট্য:

  • গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI): Windows একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব GUI প্রদান করে, যেখানে আইকন, উইন্ডো এবং মেনু ব্যবহার করে সহজে নেভিগেশন করা যায়।
  • অ্যাপ্লিকেশন সমর্থন: Windows অসংখ্য সফটওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন সমর্থন করে, যেমন Microsoft Office, Adobe Creative Suite, এবং গেমস।
  • নিয়মিত আপডেট: Windows নিয়মিত সিকিউরিটি আপডেট এবং ফিচার আপডেট প্রদান করে, যা সিস্টেমের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা উন্নত করে।
  • বহুল ব্যবহারকারী ভিত্তি: Windows-এর বৃহৎ ব্যবহারকারী ভিত্তি রয়েছে, যা এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার বিকাশকারীদের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় প্ল্যাটফর্ম।

ব্যবহার:

  • অফিস, গেমিং, মাল্টিমিডিয়া, এবং দৈনন্দিন কম্পিউটিংয়ের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

২. macOS

সংজ্ঞা:

macOS হল Apple Inc. দ্বারা তৈরি অপারেটিং সিস্টেম, যা Mac কম্পিউটারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি 2001 সালে মুক্তি পায় এবং এটি Unix ভিত্তিক।

বৈশিষ্ট্য:

  • ইন্টিগ্রেটেড সফটওয়্যার: macOS এর সাথে বিভিন্ন প্রি-ইনস্টল সফটওয়্যার যেমন Safari, iMovie, GarageBand, এবং Final Cut Pro অন্তর্ভুক্ত থাকে।
  • গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস: এটি একটি অত্যাধুনিক এবং ক্লিয়ার GUI প্রদান করে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য স্বজ্ঞাত ও আকর্ষণীয়।
  • নিরাপত্তা: macOS একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে যা ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।
  • সুবিধাজনক ইকোসিস্টেম: Apple এর অন্যান্য ডিভাইসের সাথে সহজে সমন্বয় করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেমন iPhone এবং iPad।

ব্যবহার:

  • গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও সম্পাদনা, অডিও প্রোডাকশন, এবং অন্যান্য ক্রিয়েটিভ কাজের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

৩. Linux

সংজ্ঞা:

Linux একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম, যা 1991 সালে Linus Torvalds দ্বারা তৈরি হয়। এটি বিভিন্ন ডিস্ট্রো (যেমন Ubuntu, Fedora, CentOS) এর মাধ্যমে উপলব্ধ।

বৈশিষ্ট্য:

  • ওপেন সোর্স: Linux এর সোর্স কোড মুক্ত এবং ব্যবহারকারীরা এটি পরিবর্তন ও কাস্টমাইজ করতে পারে।
  • নির্ভরযোগ্যতা: Linux সাধারণত শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল, যা সার্ভার এবং গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
  • কমিউনিটি সাপোর্ট: একটি বৃহৎ এবং সক্রিয় কমিউনিটি দ্বারা সমর্থিত, যেখানে ব্যবহারকারীরা সাহায্য ও তথ্য প্রদান করে।
  • বিভিন্ন ডিস্ট্রো: Linux বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের ডিস্ট্রো প্রদান করে, যেমন ডেস্কটপ, সার্ভার, এবং এম্বেডেড সিস্টেমের জন্য।

ব্যবহার:

  • সার্ভার, ডেভেলপমেন্ট পরিবেশ, সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং প্রযুক্তিগত কাজের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

উপসংহার

Windows, macOS, এবং Linux হল তিনটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম, প্রতিটি তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, এবং ব্যবহার ক্ষেত্র রয়েছে। Windows সাধারণত ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের জন্য, macOS ক্রিয়েটিভ পেশাদারদের জন্য এবং Linux ডেভেলপার ও সার্ভার ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। এই অপারেটিং সিস্টেমগুলি নির্বাচনের সময় ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয়তা, কার্যকরিতা এবং কার্যকারিতা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

অপারেটিং সিস্টেমের উপাদান: Kernel, Shell, File System

315

অপারেটিং সিস্টেম (OS) হল কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে একটি মধ্যস্থতাকারী, যা ব্যবহারকারীদের এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে কম্পিউটার সিস্টেমের বিভিন্ন উপাদানের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম করে। অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান উপাদানগুলির মধ্যে Kernel, Shell, এবং File System অন্তর্ভুক্ত। আসুন এই উপাদানগুলি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করি।

১. Kernel

Kernel হল অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান অংশ এবং এটি হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে যোগাযোগ পরিচালনা করে। এটি কম্পিউটারের মূল কার্যকারিতা সম্পাদন করে।

বৈশিষ্ট্য:

Resource Management: Kernel CPU, মেমোরি, ডিস্ক, এবং ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসের মতো সিস্টেমের সম্পদগুলি পরিচালনা করে।

Process Management: এটি প্রক্রিয়ার সৃষ্টি, শেষ এবং পরিচালনা করে। প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজেশন এবং ইন্টারপ্রসেস যোগাযোগ (IPC) এর জন্য দায়ী।

Memory Management: Kernel RAM ব্যবহার, মেমোরি বরাদ্দ এবং ডেটা প্রক্রিয়া করার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের সংরক্ষণ এবং মুক্তি নিশ্চিত করে।

Device Management: এটি হার্ডওয়্যার ডিভাইসের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং তাদের কার্যকরভাবে ব্যবহারে সাহায্য করে।

২. Shell

Shell হল একটি ইউজার ইন্টারফেস যা ব্যবহারকারীদের এবং অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করে। এটি ব্যবহারকারীদের কমান্ড দিয়ে সিস্টেমের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম করে।

বৈশিষ্ট্য:

Command Interpreter: Shell একটি কমান্ড লাইন ইন্টারফেস (CLI) প্রদান করে যেখানে ব্যবহারকারীরা টেক্সট কমান্ড দিয়ে সিস্টেমকে নির্দেশ দিতে পারেন।

Scripting: Shell স্ক্রিপ্টিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অটোমেটেড কাজ করার সুযোগ দেয়। স্ক্রিপ্টগুলি বিভিন্ন কমান্ডের একটি সেট যা একসাথে চালানো হয়।

User Interface: Shell গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI) বা টেক্সট-ভিত্তিক হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, Bash, Zsh, এবং Windows Command Prompt।

৩. File System

File System হল একটি কাঠামো যা তথ্য সংরক্ষণ এবং সংগঠনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ডিস্কে ফাইল এবং ডিরেক্টরিগুলির অ্যাক্সেস এবং পরিচালনা করার জন্য একটি নিয়ম নির্ধারণ করে।

বৈশিষ্ট্য:

Data Organization: ফাইল সিস্টেমে ফাইল এবং ডিরেক্টরি তৈরি, মুছে ফেলা, এবং পুনরুদ্ধারের জন্য পদ্ধতি সরবরাহ করে।

Access Control: এটি ফাইল এবং ডিরেক্টরির জন্য অনুমতি নির্ধারণ করে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

Storage Management: এটি ডিস্কের স্থান পরিচালনা করে এবং ফাইল সংরক্ষণের জন্য স্থান বরাদ্দ করে।

Types of File Systems: বিভিন্ন ধরনের ফাইল সিস্টেম রয়েছে, যেমন NTFS (Windows), ext4 (Linux), HFS+ (macOS) ইত্যাদি।

উপসংহার

অপারেটিং সিস্টেমের Kernel, Shell, এবং File System হল তিনটি মৌলিক উপাদান যা কম্পিউটারের কার্যকারিতা নিশ্চিত করে। Kernel হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে যোগাযোগের কাজ করে, Shell ব্যবহারকারীদের সাথে যোগাযোগের জন্য একটি ইন্টারফেস প্রদান করে, এবং File System তথ্যের সংগঠন এবং সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই উপাদানগুলি একসাথে কাজ করে একটি কার্যকরী এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব কম্পিউটার সিস্টেম তৈরি করতে।

মাল্টিটাস্কিং, মাল্টিথ্রেডিং এবং মাল্টিপ্রসেসিং

421

মাল্টিটাস্কিং, মাল্টিথ্রেডিং, এবং মাল্টিপ্রসেসিং হল কম্পিউটার সিস্টেমে একাধিক কাজ সম্পন্ন করার বিভিন্ন কৌশল। এই তিনটি ধারণা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত হলেও তাদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। নিচে প্রতিটি ধারণা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

১. মাল্টিটাস্কিং (Multitasking)

মাল্টিটাস্কিং হল একটি পদ্ধতি যা একটি কম্পিউটারে একসাথে একাধিক কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম। এটি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে উন্নত করে, কারণ ব্যবহারকারীরা একাধিক অ্যাপ্লিকেশন বা প্রোগ্রাম চালাতে পারেন।

বৈশিষ্ট্য:

  • টাইম-শেয়ারিং: একাধিক কাজের জন্য CPU এর সময় ভাগ করে দেওয়া হয়। প্রতিটি কাজ CPU থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় ভাগ পায়, যা দ্রুত পাল্টে যায়।
  • ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা: এটি ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন একসাথে ব্যবহার করার সুযোগ দেয়, যেমন একদিকে ইমেইল চেক করা এবং অন্যদিকে ওয়েব ব্রাউজিং করা।
  • উদাহরণ: Windows, Linux এর মতো অপারেটিং সিস্টেমে মাল্টিটাস্কিং ব্যবহৃত হয়।

২. মাল্টিথ্রেডিং (Multithreading)

মাল্টিথ্রেডিং হল একটি প্রক্রিয়া যা একটি একক প্রোগ্রামে একাধিক থ্রেড তৈরি এবং পরিচালনা করে। প্রতিটি থ্রেড পৃথকভাবে কাজ করতে পারে এবং এটি প্রোগ্রামের কার্যকারিতা উন্নত করে।

বৈশিষ্ট্য:

  • শেয়ারড রিসোর্স: একই প্রোগ্রামের বিভিন্ন থ্রেড একই মেমরি স্পেস শেয়ার করে, যা তথ্যের দ্রুত প্রবাহ নিশ্চিত করে।
  • সহযোগিতা: থ্রেডগুলি একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং একাধিক কাজ একসাথে সম্পন্ন করতে পারে।
  • উদাহরণ: একটি মিডিয়া প্লেয়ার যেখানে একটি থ্রেড অডিও চালাচ্ছে এবং অন্য থ্রেড ইউজার ইন্টারফেস পরিচালনা করছে।

৩. মাল্টিপ্রসেসিং (Multiprocessing)

মাল্টিপ্রসেসিং হল একাধিক প্রক্রিয়া পরিচালনার একটি কৌশল। এতে একাধিক প্রক্রিয়া একসাথে চলতে পারে, প্রতিটি প্রক্রিয়া আলাদা মেমরি স্পেস ব্যবহার করে।

বৈশিষ্ট্য:

  • প্রক্রিয়া আইসোলেশন: প্রতিটি প্রক্রিয়া স্বতন্ত্র এবং তাদের মধ্যে ডেটা শেয়ার করতে হলে IPC (Inter-Process Communication) ব্যবহার করতে হয়।
  • বহু CPU ব্যবহার: মাল্টিপ্রসেসিং সিস্টেমগুলি একাধিক CPU বা কোর ব্যবহার করে, যা প্রসেসিং পাওয়ার বাড়ায়।
  • উদাহরণ: সার্ভার সিস্টেম যেখানে একাধিক সার্ভিস একসাথে চলতে পারে।

তুলনা

বৈশিষ্ট্যমাল্টিটাস্কিংমাল্টিথ্রেডিংমাল্টিপ্রসেসিং
প্রকৃতিএকাধিক কাজের সমন্বয়একটি প্রোগ্রামের মধ্যে একাধিক থ্রেডএকাধিক স্বতন্ত্র প্রক্রিয়া
মেমরি ব্যবস্থাপনাশেয়ারড মেমরি (তথ্য সাধারণত ভাগ করা হয়)শেয়ারড মেমরি (তথ্য একসাথে শেয়ার করে)আলাদা মেমরি স্পেস
বহনযোগ্যতাসহজ, সাধারণত ব্যবহারকারী ইন্টারফেসেদ্রুত যোগাযোগ, তবে ঝুঁকিপূর্ণউচ্চ কর্মক্ষমতা, কিন্তু জটিল
উদাহরণডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমওয়েব ব্রাউজার, মিডিয়া প্লেয়ারসার্ভার, ক্লাউড কম্পিউটিং

উপসংহার

মাল্টিটাস্কিং, মাল্টিথ্রেডিং এবং মাল্টিপ্রসেসিং একাধিক কাজ সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন কৌশল প্রদান করে। সঠিক কৌশল নির্বাচন করা একটি সফটওয়্যার প্রকল্পের কার্যকারিতা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে সফটওয়্যার ডিজাইন এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...